সিলেটে অটোরিকশা চালক ব্রজেন্দ্র হত্যা মামলায় ২ আসামী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ১২:১৩ অপরাহ্ণ, জুন ১৮, ২০২৩

সিলেটে অটোরিকশা চালক ব্রজেন্দ্র হত্যা মামলায় ২ আসামী গ্রেপ্তার

সিলেটের ওসমানীনগরে অটোরিকশা চালক ব্রজেন্দ্র শব্দকর হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার (১৮ জুন) সিলেট জেলা পুলিশ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত সুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শেখ মোঃ সেলিম জানান, ব্রজেন্দ্র শব্দকর হত্যা মামলার মূল আসামি সমানীনগর উপজেলার মজলিশপুর গ্রামের ফিরোজ আলীর ছেলে মো. গুলজার আলী (২৭) কে গত ১৪ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থেকে ও পরদিন একই গ্রামের তাহির আলীর ছেলে শিপন মিয়া (২৭) কে সিলেটের ওসমানীনগর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে, গত ৫ মে বিকালে ওসমানীনগর থানার লাল কৈলাস গ্রামের অটোরিকশা চালক ব্রজেন্দ্র শব্দকরের মরদেহ ওসমানীনগর থানাধীন ৪ নং বুরুঙ্গা ইউনিয়নের প্রথমপাশা গ্রামের সড়কের পাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

পুলিশ জানায়, ব্রজেন্দ্র শব্দকরের চালিত অটোরিকশাটি চুরির উদ্দেশ্য নিয়ে গত ৮ মে রাতে বেশি টাকা ভাড়া প্রদানের আশ্বাসে গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা ব্রজেন্দ্র শব্দকরের অটোরিকশায় চেপে বসেন। পরে তারা কৌশলে তাজপুর বাজার হতে বুরুঙ্গা রাস্তায় নিয়ে যায়। কিন্তু ব্রজেন্দ্র শব্দকর রাতে চোখে কম দেখায় গ্রেপ্তার আসামি গুলজার আলী তাজপুর বাজার থেকে রিকশাটি নিজে চালিয়ে বুরুঙ্গা নিয়ে যান। সেখানে পৌঁছার পর ব্রজেন্দ্র শব্দকর প্রস্রাব করার কথা বলে গাড়ি হতে নেমে রাস্তার দক্ষিণ পাশে প্রস্রাব করতে বসে। এ সময়ে গ্রেপ্তারকৃত আরেক আসামী শিপন মিয়া পিছন দিক হতে তার সাথে নেয়া লোহার হাতুড়ি দিয়ে ব্রজেন্দ্র শব্দকরের মাথায় ৩-৪টি আঘাত করে এবং ধাক্কা দিয়ে রাস্তার নিছে ফেলে দেয়। পরে সেখান থেকে তারা রিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায় এবং সেটা বিক্রি করে তারা দুজনেই টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করে নেন।

পরদিন বিকালে ওসমানীনগর থানার লাল কৈলাশ গ্রামের অটোরিকশা চালক ব্রজেন্দ্র শব্দকরের মরদেহ ওসমানীনগর থানাধীন ৪ নং বুরুঙ্গা ইউনিয়নের প্রথমপাশা গ্রামের সড়কের পাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এদিনই নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ওসমানীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা (নং-৫, তারিখ-০৭/০৫/২০২৩খ্রি: ধারা-৩০২/৩৭৯/৩৪ পেনাল কোড) দায়ের করেন।

এস এ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ