ঢাকা ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:৫৬ পূর্বাহ্ণ, জুন ৩, ২০২৩
বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ সিলেট বিভাগীয় তৃণমূল প্রতিনিধি সভা
বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক, বিশিষ্ট মানবাধিকার ব্যক্তিত্ব এডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত বলেছেন, পৃথিবীর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র সমূহে জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে রাজনৈতিক দলগুলো যে সব নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেয় নির্বাচনের পর তা বাস্তবায়নের জন্য কোন আন্দোলন করতে হয় না। কিন্তু আমাদের বাস্তবতা হচ্ছে, রাজনৈতিক দলগুলো দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি উদাসীন থেকে তাচ্ছিল্যের মনোভাব প্রদর্শন করছে। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে দেশের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোন বিষয় নির্বাচনী ইশতেহারে তুলে ধরে না।
২০১৮ সালের নির্বাচনের প্রাক্কালে বর্তমান ক্ষমতাশীন দল সংখ্যাঘলুদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট যে সকল বিষয় তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রকাশ করেছিল, আজ পর্যন্ত তার একটিও পূরণ করেনি, যা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জার। এডভোকেট রানা দাশগুপ্ত আরও বলেন, সরকারি দলের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘন্টা গণঅনশন করেছে গোটা দেশব্যাপী, কিন্তু তাতেও সরকারের মনোভাবের পরিবর্তন হয়নি। তিনি বলেন, পাকিস্তানকে পরাজিত করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আর ৫২ বছরেও পাকিস্তানী মানসিকতার কোন পরিবর্তন হয়নি। এডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুরূপ পৃথক পৃথক হিন্দু ফাউন্ডেশন, বৌদ্ধ ফাউন্ডেশন ও খ্রিষ্টান ফাউন্ডেশন গঠন করতে হবে। অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পন আইন যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন করতে হবে। সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে। পার্বত্য শান্তি চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে হবে। সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে আমাদের ন্যায্য দাবী পূরণ না হলে দেশের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ভোটদানে নিরুৎসাহিত সহ পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে।
এডভোকেট রানাদাশগুপ্ত শনিবার (৩ জুন) সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ সিলেট বিভাগীয় তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় মূখ্য আলোচক হিসেবে উপরোক্ত কথাগুলো রাখেন।
সংগঠনের সিলেট মহানগর সভাপতি ও বিভাগীয় সমন্বয়ক কমিটির আহ্বায়ক এডভোকেট মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা এর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব প্রদীপ কুমার দেব এবং সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক কৃপেশ পাল এর যৌথ সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, সভাপতি মন্ডলীর সদস্য জয়ন্ত সেন দীপু, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত দেব, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মলয় পুরকায়স্থ, পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক রজত কান্তি ভট্টাচার্য্য, ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক অভিজিত ভট্টাচার্য্য, কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আশু রঞ্জন দাশ, কেন্দ্রীয় সদস্য এডভোকেট মলয় চক্রবর্তী রাজু, সিলেট জেলা সভাপতি এড. প্রদীপ ভট্টাচার্য্য, হবিগঞ্জ জেলা সভাপতি এডভোকেট পূর্ণব্রত চৌধুরী বিভু, সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি দীপক কান্তি ঘোষ, মৌলভীবাজার সভাপতি মনবীর রায় মনজু, পূজা উদাপন পরিষদ সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি এডভোকেট বিমান কান্তি রায়, সাধারণ সম্পাদক বিমল বণিক, মৌলভীবাজার জেলা সাধারণ সম্পাদক নুকুল কুমার দাশ, সুনামগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, পূজা পরিষদ মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মহিম দে মধু, বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় সভাপতি সুদীপ্ত সরকার সূর্য, সাধারণ সম্পাদক শিপন বাড়াইক, এডভোকেট বিজয় কৃষ্ণ বিশ্বাস, গোপিকা শ্যাম পুরকায়স্থ, কাঞ্চন দে, বাবুল দেব, ডিজি রুমু, বিপ্লব রায় সুমন, সজল দাস, নিহার দেব, কৌশিক আচার্য্য পায়েল, বিভাকর দেশ মূখ্য, দেবব্রত ভট্টাচার্য্য, গৌরা দে, বিদ্যা কান্তি দে, এড. ডেজি প্রেন্টার্স, জয়ন্ত ব্যানার্জি, রাজ কুমার পাল রাজু, অধ্যাপক হরিদ রায় প্রমুখ।
ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক তার বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছে আজকের বাংলাদেশ। অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিটি আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে সমঅধিকার ও সমমর্যাদা আদায়ের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বা না।
সম্পাদক ও প্রকাশক শংকর দাশ
উপ-সম্পাদক বিন্দু মজুমদার
অফিস জিন্দাবাজার, সিলেট।
মোবাইল: ০১৭১২-৭৫৭২০৭, ০১৭১৯-৩৩৪৮৪৭
ই-মেইল: shonkardas@gmail.com
Design and developed by WEB-NEST-BD