প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে সিলেট ছাড়ছে ঘরমুখী মানুষ

প্রকাশিত: ৩:৩২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৯, ২০২৩

প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে সিলেট ছাড়ছে ঘরমুখী মানুষ

বাঙালির শেকড় গ্রামে। আর কোনো উৎসব এলেই নাগরিক বাঙালি উদযাপন করতে ছুটে যায় গ্রামে। বরাবরের মতো এই ঈদেও স্বজন-প্রিয়জনদের সঙ্গে উদযাপন করতে সিলেট ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ। দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে কর্মজীবী ও শিক্ষার্থী রয়েছে অন্তত ২০ লাখ। তারা ঈদ বা কোনো উৎসব এলেই নিজ নিজ এলাকায় ফিরে। এর বাইরেও কাছে-দূরে তথা এক জেলা থেকে অন্য জেলায়, জেলা-উপজেলা শহর থেকে গ্রামে বা দূরের শহরে যাতায়াত করে আরো প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ।

সব মিলিয়ে এবারের ঈদ ঘিরেও পাঁচ দিনে প্রায় ছয় কোটি মানুষ নানা গন্তব্য থেকে ঘরমুখো হবে।

সিলেটের পরিবহন মালিক সমিতি সূত্র বলেছে, ঈদের পাঁচ দিন নিয়মিত তিন হাজার বাসে যাত্রী পরিবহন হবে। প্রতি বাসে গড়ে ৪০ জন যাত্রী হলেও দিনে এক লাখ ২০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা হবে। তাতে পাঁচ দিনে ছয় লাখ মানুষ শুধু বাসেই সিলেট ছাড়বে।

ট্রেনও সিলেট থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার অন্যতম মাধ্যম। এখানকার মানুষ বিভাগের ভেতরে যাতায়াতেও ট্রেন ব্যবহারে অভ্যস্ত। আর আছে ভাড়া ও ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারের প্রচলন।

শুধু যে বাসে লোকজন বাড়ি ফিরে এমন নয় বিগত দিনে দেখা গেছে মোটরসাইকেল, মাইক্রো, প্রাইভেট কারেও বহু যাত্রী বাড়ি ফিরে। ঈদের সময় শখের বসে অনেকে সিলেট থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ি যায়। এ ছাড়া মাইক্রোবাস, মিনিবাস ও বিভিন্ন অফিসের গাড়িতে প্রতিদিন শহর ছাড়বে। এর সঙ্গে ব্যক্তিগত গাড়িও যুক্ত হবে।

রেলের যাত্রী:
রেলের ঈদ যাত্রায় এবার শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি হয়েছে। সেইসাথে প্রথমবারের মতো সিলেট-চাঁদপুর রুটে একজোড়া ‘স্পেশাল ট্রেন’ চলাচল শুরু হয়েছে। সব মিলিয়ে পাঁচ দিনে আড়াই লাখ যাত্রী পরিবহন করা হবে সিলেট থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেন। তবে এর সঙ্গে আরো দেড় লাখ মানুষ দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রেলওয়ে সূত্র বলেছে, স্বাভাবিক সময় সারা দেশে প্রতিদিন গড়ে এক লাখ মানুষ ট্রেনে ভ্রমণ করে। ঈদের সময় এই সংখ্যা দ্বিগুণ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে ঈদের আগের পাঁচ দিনে ১০ লাখ মানুষ ট্রেনে ভ্রমণ করবে।

পিকআপ-ট্রাকেও যাবে মানুষ:
লঞ্চ, ট্রেন, মোটরসাইকেল বা মাইক্রোতেই সরাসরি মানুষ সিলেট ছাড়বে এমন নয়। এর বাইরেও বহু মানুষ ভেঙে ভেঙে পথ পাড়ি দেবে। পিকআপ ভ্যান ও ট্রাকেও শেষ মুহূর্তে শহর ছাড়ার নজির রয়েছে। তবে সেই বেহিসাবি খাতের কোনো হিসাব পাওয়া যায় না।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ